আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী নির্বাচনে আরও আধুনিক স্মার্ট আওয়ামী লীগ গড়ে তুলতে চাই। এজন্য দলের মধ্যে কোনো বসন্তের কোকিল নয় ত্যাগীদেরই জায়গা করে দিতে হবে।

মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সব নেতাকর্মীদের শপথ নিতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে দলের মধ্যে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। ত্যাগী কর্মীদের দিয়ে দল সাজাতে হবে। যারা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত তারা আগামীতে আওয়ামী লীগের টিকিট পাবেন না।

তিনি বলেন, গণতন্ত্রের নামে গণতন্ত্র হত্যা করেছিল বিএনপি। বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে এই গণতন্ত্রকে নিয়ে তামাশা করছিল। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জনগণের ভোটে বিজয়ী হয়ে কেন সংসদে আসেনি, এটা কোন গণতন্ত্র?

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনা আজ একটি ব্র্যান্ডের নাম। তিনি নিজেই একটি ইতিহাস। ইতিহাসের প্রয়োজনে শেখ হাসিনার জন্ম হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে ওঠে এসেছেন। দেশের সীমানা পেরিয়ে বিশ্ব নেতার কাতারে পৌঁছেছেন শেখ হাসিনা। তাই তো শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্ব ও জাতিসংঘের বক্তব্য কারণে বিশ্বে প্রশংসিত।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বেঁচে আছেন বলেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে, এদেশের এতো উন্নয়ন হয়েছে। দেশের মানুষ ভালে আছেন। শেখ হাসিনা সাহসী নেতৃত্বের কারণেই বাংলায় আজ সোনালী আকাশ। দারিদ্র্য বিমোচনে বিশ্বে রোল মডেল শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন যথা সময়ে গণতন্ত্র অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি সিরিজ সভা করছে, তারা নাকি আন্দোলন করবে। দেশের মধ্যে আন্দোলনের নামে কোনো সহিংসতা করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সমোচিত জবাব দেওয়া হবে। এ জন্য আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মীদের শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

আওয়ামী লীগের এই শীর্ষ নেতা বলেন, আগামী নির্বাচনে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা, (বিএনপি) আপনাদের? পালাতক আসামি? যদি আপনারা পলাতক আসামিকে নেতা বানান, দেশের মানুষ কখনো গণতন্ত্রের নেতা মেনে নেবে না।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, শাজাহান খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সবুর, দফতর সম্পাদক বিল্পব বড়ুয়া, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনসহ কেন্দ্রীয়ও ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী।