একের পর এক জয়ের রাস্তাটা প্রশস্ত
করেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররাই। আর সেই সুযোগটা লুফে নিতে ভুল করেননি কিউই অধিনায়ক
টম লাথাম। জীবন ফিরে পেয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। আর
তাতেই টানা দ্বিতীয় জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে স্বাগতিকরা।
ম্যাচের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে
নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৭১ রান সংগ্রহ করে সফররত বাংলাদেশ। জবাবে
খেলতে নেমে ১০ বল এবং ৫ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় টম লাথাম বাহিনী।
বাংলাদেশের দেয়া টার্গেটে ব্যাট করতে
নেমে ইনিংসের পঞ্চম ওভারেই মোস্তাফিজুর রহমানের বলে ক্যাচ তুলে দেন কিউই ওপেনার
মার্টিন গাপটিল। আউট হওয়ার পূর্বে ২৪ বলে ২০ রান করেছেন তিনি।
এরপর দ্বিতীয় উইকেটে খেলতে নামা ডেভন
কনওয়েকে নিয়ে ধীরে সুস্থেই খেলতে থাকেন হ্যানরি নিকোলস। এসময় স্বাগতিকদের ইনিংসে
ভিলেন রূপে আবির্ভূত হন বাংলাদেশ দলের উদীয়মান অলরাউন্ডার মেহেদি শেখ। পরপর দুই
ওভারে দুই কিউই ব্যাটসম্যানকে বোল্ড করেছেন তিনি। ওপেনার নিকোলস ১৩ রানে এবং উইল
ইয়াং সাজঘরে ফেরেন ১ রান করে।
কিন্তু চতুর্থ উইকেট পার্টনারশিপে
ডেভন কনওয়ে এবং টম লাথাম মিলে ১১৩ রানে জুটি গড়লে তখনই জয়ের ভিত তৈরি হয়ে যায়।
ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পর ব্যক্তিগত ৭২ রানে ফেরেন কনওয়ে।
পরের উইকেটে খেলতে নামা জিমি নিশামকে ৩০ রানে ফেরান মোস্তাফিজ। এরপর ডার্লি
মিচেলকে সঙ্গে নিয়ে ম্যাচ শেষ করেন লাথাম। তিনি ১১০ রানে অপরাজিত থাকেন। মিচেল
অপরাজিত থাকেন ১৫ রানে।
বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন
মেহেদি শেখ এবং মোস্তাফিজুর রহমান।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে কোনো
রান না করেই আউট হন বাংলাদেশি ওপেনার লিটন কুমার দাস। তাকে সাজঘরে ফেরান কিউই
পেসার ম্যাট হ্যানরি। দ্বিতীয় উইকেটে খেলতে নামা সৌম্য সরকার তামিমের সঙ্গে গড়েন
৮১ রানের ইনিংস। মিচেল সান্টনারের বলে আউট হন সৌম্য। করেছেন ৩২ রান।
এরপর মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে ৪৮ রানের
জুটি গড়েন টাইগার অধিনায়ক। সেই সঙ্গে পূর্ণ করেছেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৫০তম ফিফটি।
নিজের ভুলে রান আউট হয়েছেন ৭৮ রানে। কিছুক্ষণ পর প্যাভিলিয়নে তামিমদের সঙ্গ দিতে
চলে যান মুশফিকও। ৫৯ বলে ৩৪ রান করে তিনি। মুশফিক আউট হলেও ক্রিজে খুঁটি গড়ে খেলতে
থাকেন মিঠুন। থেকেছেন শেষ পর্যন্ত। দীর্ঘক্ষণের ইনিংসে তাকে যথাক্রমে সঙ্গ দিয়েছেন
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, শেখ মেহেদি হাসান
এবং মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনরা। ১৮ বলে ১৬ রান করে করেন মাহমুদউল্লাহ এবং ৫ বলে ৭ রান
করেন শেখ মেহেদি।
আর মিঠুন অপরাজিত থাকেন ৭৩ রানে, খেলেছেন মাত্র ৫৭ বল। তার এই ইনিংসটি ৬টি চার এবং ২টি ছয়ে
সাজানো। এদিকে ৪ বলে ৭ রান করা সাইফউদ্দিনও নট আউট থাকেন।