প্রাণঘাতী
করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন
(টিকা) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছেছে। দ্বিতীয় চালানে টিকা এসেছে
২০ লাখ ডোজ।
সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টা ২২ মিনিটে ভারতের
স্পাইসজেট এসজি-০০৬৩ ফ্লাইটটি কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের ২০ লাখ ডোজের একটি চালান নিয়ে বিমানবন্দরে
অবতারণ করে। এর আগে ভারতের মুম্বাইয়ের স্থানীয় সময় ৭টা ৪০ মিনিটে করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে
ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়।
রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৮ নম্বর
গেটে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ৫টি বিশেষ ফ্রিজার কাভার্ডভ্যান এসে পৌঁছায়। একে
একে এই ভ্যানগুলো ৮ নম্বর গেট দিয়ে বিমানবন্দরের রানওয়েতে প্রবেশ করে।
দ্বিতীয় চালানে আসা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী টিকার
(কোভিশিল্ড) ২০ লাখ ডোজের সেম্পল (নমুনা) পরীক্ষার জন্য মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি)
ওষুধ প্রশাসনে পাঠানোর কথা রয়েছে বলেও জানায় বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস।
দ্বিতীয় চালানে আসা করোনা ভ্যাকসিন (কোভিশিল্ড) ফ্লাইট
থেকে নামানোর পর বিমানবন্দর থেকে বিশেষ ফ্রিজার কাভার্ডভ্যানে করে নিয়ে যাওয়া হবে টঙ্গীতে
অবস্থিত বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ওয়্যারহাউজে (সংরক্ষানাগারে)।
বাংলাদেশ সরকার বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ও ভারতের
সেরাম ইনস্টিটিউটের মাধ্যকার চুক্তি অনুযায়ী সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে ৩ কোটি করোনাভাইরাস
প্রতিরোধী টিকা (কোভিশিল্ড) কিনছে। এতে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস টিকা সরবরাহকারী
প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে।
এর আগে, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী ভ্যাকসিনের (কোভিশিল্ড) ২০ লাখ ডোজ বাংলাদেশকে উপহার দিয়েছে ভারত। এরপর গত ২৫ জানুয়ারি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনায় প্রথম চালানে ৫০ লাখ ডোজ কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন (টিকা) বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়। এবার দ্বিতীয় চালানে ২০ লাখ ডোজ করোনা প্রতিবোধী ভ্যাকসিন (কোভিশিল্ড) দেশে এসেছে পৌঁছালো।
গত ২৭ জানুয়ারি কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তাকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী টিকা (কোভিশিল্ড) দেওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে টিকা দান কর্মসূচির উদ্বোধন হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চ্যুয়ালি টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।