নির্বাচনে জয়ী হয়ে মুক্ত রাজনীতীবিদ হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

বুধবার বিকেল ৫টায় বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক সম্মেলন সিটিতে দুতিন ব্যাপী তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক এক কর্মশালার সমাপনী অধিবেশনে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, ক্ষমতা ছাড়ার পর একটি দিনও মুক্ত ভাবে রাজনীতি করতে পারিনি, আজো পারছিনা। তবে, আগামী নির্বাচনে জয়ী হয়ে মুক্ত রাজনীতিবিদ হবো। মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করবো, দেশে সুশাসন ফিরিয়ে দেবো। দেশের প্রতিহিংসার রাজনীতি বন্ধ করে সহমর্মীতা আর ভালোবাসার রাজনীতি উপহার দেবো।

এরশাদ আরো বলেন, নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে ৫ কোটি ভোটারের কাছে যাবো। নতুন প্রজন্মেও কাছে আমাদেও কথাগুলো তুলে ধরবো। তাদের কাছে আমাদের সমর্থন চাইবো।

১৯৯৬ সালের নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন আমরা সমর্থন না দিলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসেতে পারতো না। কিন্তু তাদেও কাছে আমরা সুবিচার পাইনি, আমরা সবার কাছেই প্রতারিত হয়েছি। আমাকে জেলে পাঠিয়ে ৫ কোটি টাকা জরিমানাও করেছিলো।

নেতা-কর্মীদেও উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন আমাদের বন্ধু আমরাই, কোন রাজনৈতিক দল আমাদের বন্ধ নয়। আমাদের প্রকৃত বন্ধু কৃষক, শ্রমিক এবং মেহনতী মানুষ। আমরা তাদের জন্যই রাজনীতি করি।

বক্তৃতায় হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, আমরা কখনো প্রতিহিংসার রাজনীতি করিনি। যারা প্রতিহিংসার রাজনীতি করে আমাকে জেলে দিয়েছে, আমার পার্টি ধংস করতে চেয়েছে। আমরা তাদের কথা মনে রাখবো। দেশের মানুষও তাদের কথা মনে রাখবে।

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন বিএনপি ক্ষমতায় গিয়ে তাদের সাড়ে ৫ হাজার মামলা এবং আওয়ামী লীগ ৬ হাজার মামলা তুলে নিয়েছে। আমার নামের মামলাগুলে এখনো চলছে। জেল খেটেছি, কষ্ট পেয়েছি অনেক। আজ উজ্জীবিত জাতীয় পার্টি দেখে মনের সব কষ্ট দূর হয়েছে। তিনি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেন ক্ষমতায় যেতে তোমারা প্রস্তুত? তখন সবাই সমস্বরে হাত তুলে তাদের সমর্থন ব্যক্ত করে।

বলেন নতুন করে শপথ নিলাম নতুন বাংলাদেশ গড়বো, কেউ আমাদেও আটকাতে পারবেনা। এবার আমরা শৃংখলমুক্ত হবোই। এরআগে জাতীয় পার্টির দলীয় অ্যাপস এর উপর ধারনা দেন চেয়ারম্যানের তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা শফিউল্লাহ আল মুনির। এর আগে পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, এরশাদের নবছরের স্বর্নযুগের কথা আমরা সাধারন মানুষের কাছে তুলে ধরতে পারলে তারা জাতীয় পার্টিকেই ভোট দেবেন।

উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য এমএ সাত্তার, মোঃ হাফিজ উিিদ্দন, সৈয়দ আবদুল মান্নান, মাহজমুদুল ইসলাম চৌধুরী, মশিউর রহমান রাঙা, নুর-ই হাসনা লিলি চৌধুরী, এসএম ফয়সল চিশতী, সোলায়মান আলম শেঠ, এড, এম রশিদ, নাসরিন জাহান রতনা, মেজর (অব.) খালেদ আকতার, মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা, শফিকুল ইসলাম সেন্টু। সংসদ সদস্যদের মধ্যে লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি, শওকত চৌধুরী, আমির হোসেন ভূইয়া, সালাহউদ্দিন আহমেদ মুক্তি, ডা. রুস্তুম আলী ফরাজী, রওশন আরা মান্নান, মেহজাবিন মোর্শেদ, নুরুল ইসলাম তালুকদার, খোরশেদ আরা হক, মেরিনা রহমান। চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা সৈয়দ দিদার বক্স, রিন্টু আনোয়ার, অ্যাড. রেজাইল ইসলাম প্রমুখ।

 

বিডিপ/সৌ