বিভিন্ন সংগঠনের প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ঐক্যবদ্ধভাবে সংবাদ সম্মেলন করে ডাকসু নির্বাচন বর্জন করেছে। একই সঙ্গে তারা এই নির্বাচন বাতিল করে পুনতফসিল দাবি করেছেন।

আজ (১১ মার্চ) দুপুর সোয়া ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্য প্যানেলের ডাকসুর সহ-সভাপতি পদপ্রার্থী লিটন নন্দী প্যানেলগুলোর পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দেন।

সেসময় তিনি ডাকসু ও হল সংসদের পুননির্বাচনেরও দাবি জানান।

এছাড়াও, অপর এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলও নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়।

এদিকে, আগামীকাল (১২ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন স্বাধিকার স্বতন্ত্র পরিষদ প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী এ আর এম আসিফুর রহমান।

এর আগে সকাল ৮টা থেকে ডাকসু কেন্দ্রীয় সংসদ এবং হল সংসদগুলোর নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়, চলে দুপুর দুইটা পর্যন্ত।

কুয়েত মৈত্রী হলে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

তবে ছাত্র হলগুলোতে অবস্থিত ভোট কেন্দ্রগুলোতে সকাল থেকেই ছাত্রদের দীর্ঘ লাইন লক্ষ্য করা গেছে। কেউ কেউ অভিযোগ করছেন, এক ঘণ্টা ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও ভোট কক্ষের কাছেও পৌঁছাতে পারছেন না তারা।

ভোট গ্রহণের হার ধীরগতিতে চলায় এমনটা হচ্ছে বলে তারা মনে করছেন। প্রতি ভোটার ভোট দিতে পারবেন ৩৮টি। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদে ২৫টি এবং হল সংসদে ১৩টি পদ রয়েছে।

মোট ভোটার রয়েছেন ৪৩ হাজার ২৫৬ জন। ১৮টি হলে এই ভোট গ্রহণ হচ্ছে। তবে মাত্র ৬ ঘণ্টায় প্রায় সাড়ে ১৬ লাখ ভোট গ্রহণের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, ৪৩ হাজার শিক্ষার্থীর ভোটদানে এ সময় যথেষ্ট নয়। আর এ জন্যই হয়তো ভোটগ্রহণে সময় লাগছে।