তিনি এখন রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. সেলিম হোসেন বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেছেন, সচিবের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি তাদের এখনও জানা নেই। তবে টিকা নেওয়ার পরও সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা সবার ক্ষেত্রে পুরোপুরি দূর হয় না।

“টিকা দিলে ট্রান্সমিশন কমে যাবে। কমানোর জন্যই টিকা দেওয়া। তবে সংক্রমণ হতে পারে। কারণ টিকা শতভাগ কার্যকর হবে এমন কথা তো কোনো টিকা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানই বলেনি।”

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা সেলিম জানান, গত ৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে করোনাভাইরাসের টিকা নেন সচিব।

“১৯ ফেব্রুয়ারি করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ আসার পর উনার শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় ও অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমে যায়। সে কারণে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখন শ্বাসকষ্ট কমেছে, অক্সিজেন স্যাচুরেশনও ভালো।”

টিকা নেওয়ার পরও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনার বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বলেন, যারা টিকা নিচ্ছেন, তাদের একটি অংশও আক্রান্ত হতে পারেন। সেটা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে দেখা গেছে এবং সব ধরনের টিকাতেই তা হতে পারে।

“এছাড়া টিকার এক ডোজেও পুরোপুরি কাজ হবে না। দুই ডোজ দিতে হবে। দুই ডোজ দেওয়ার পরই টিকা কতভাগ সংক্রমণ প্রতিরোধ করবে তা বোঝা যাবে। টিকা নেওয়া থাকলে আক্রান্ত হলেও সিভিয়ারিটি কমে যাবে। সচিব মহোয়দের ক্ষেত্রে কী হয়েছে তা খতিয়ে দেখে বলা যাবে।”

বাংলাদেশে দেওয়া হচ্ছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকা। সবাইকে এ টিকার দুটি ডোজ নিতে হবে।

অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানিয়েছিল, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে তাদের এই টিকা নিরাপদ প্রমাণিত হয়েছে এবং ৭০ শতাংশ স্বেচ্ছাসেবীকে কার্যকর সুরক্ষা দিতে পেরেছে।

এই টিকা দেওয়ার পর কারও কারও হালকা জ্বর, গা ব্যথা, ক্লান্ত বোধ করার মত সাধারণ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেলেও তা নিয়ে আতঙ্ক বা অস্বস্তির কারণ নেই বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। আর বাংলাদেশে যারা টিকা নিয়েছেন, তাদের মধ্যে মারাত্মক কোনা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবরও আসেনি।