দেশের বিভিন্ন জেলায় চামড়া বিক্রি করতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। তাদের অভিযোগ, সিন্ডিকেটের কারসাজিতে চামড়ার বাজারে ধস নেমেছে। আড়তদাররা বলছেন, ট্যানারি মালিকরা বকেয়া পরিশোধ না করায় চামড়া কিনতে পারছেন না তারা।

সোমবার (১২ আগস্ট) দিনভর বিভিন্ন স্থান থেকে সরকার নির্ধারিত ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা বর্গফুট দরে চামড়া কিনে বিকেলে আড়তে নিয়ে আসেন ক্ষুদ্র ও মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। এতে প্রতি গরুর চামড়া ৫শ থেকে ৭শ টাকা দাম পড়লেও পাইকাররা দাম বলেন ২শ থেকে আড়াইশ টাকা। এ অবস্থায় কাঙ্খিত দর না পেয়ে চামড়া ফিরিয়ে নিয়ে যেতে বাধ্য হন তারা। আর পুঁজি সংকটের অজুহাত আড়তদারদের।

রংপুরে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কম দামে চামড়া কিনেছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। তবে সংগ্রহ করা চামড়া কেনা দামেও বিক্রি করতে না পেরে হতাশ তারা।

কুষ্টিয়ায় সরকার নির্ধারিত দরে চামড়া কিনলেও টাকা ওঠানো নিয়ে শঙ্কা তাদের। পুঁজি হারিয়ে পথে বসার আশঙ্কা করছেন ফড়িয়া ও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।

বরিশালে ছোট ও মাঝারি আকৃতির গরুর চামড়া অনেকে বিক্রি করেন মাত্র ১শ' থেকে ২শ' টাকা দরে। আড়তদাররা বলছেন, ঢাকার ট্যানারি মালিকরা বকেয়া পরিশোধ না করায় চামড়া কিনতে পারছেন না তারা।

ময়মনসিংহে পানির দরে চামড়া বিক্রি করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। তারা বলছেন, সিন্ডিকেটের কারসাজিতে চামড়ার দাম কমিয়ে দেয়া হয়েছে।এছাড়া, রাজশাহী, নওগাঁ, হিলি ও নীলফামারীসহ সারাদেশে চামড়া বিক্রি করা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।