ভোট কারচুপি ও জালিয়াতির অভিযোগ তুলে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নানিয়ারচরে ৪ স্বতন্ত্র প্রার্থী সহ মোট আটজন প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন।

ভোটগ্রহণের শুরুর ৩ ঘণ্টার মাথায় ভোট বর্জন করেছেন রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী বড় ঋষি চাকমা এবং তিন ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী। এছাড়া নানিয়ারচর উপজেলায় ৪ স্বতন্ত্র প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।

সোমবার (১৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান বড় ঋষি চাকমা অভিযোগ করে বলেন, ‘গতকাল রাতেই বিভিন্ন কেন্দ্রে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ‘ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। আজ সকাল থেকেই আমার সমর্থক ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে বাধা দেয়া হয়।

তিনি বলেন, জনসংহতি সমিতির (এমএনলারমা) বিপুল সংখ্যক বহিরাগত ও সশস্ত্র কর্মী এলাকায় অবস্থান নিয়ে ভোট সন্ত্রাস করলেও প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় আমি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলাম। আমার সাথে আরও তিন ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থীও নির্বাচন বর্জন করেছেন।

এ ব্যাপারে রাঙ্গামাটির রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এসএম শফি কামাল বলেন, ‘বাঘাইছড়িতে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও একাধিক ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা আমরা শুনেছি। অন্যান্য উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ চলছে। কোথাও থেকে কোনো অভিযোগ পাইনি।

পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রাঙামাটির ১০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সোমবার (১৮মার্চ) সকাল ৮টা থেকে সব কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে চলবে টানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ১০টি উপজেলার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও বাঙালি মিলে ভোট দেবে ৪ লাখ ১৮ হাজার ২১৮ জন নারী-পুরুষ। ২০৮টি কেন্দ্রে ভোট কার্যক্রম চলবে। রাঙামাটির ১০টি উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে ২২ জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩১ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, সকালে বেশির ভাগ কেন্দ্রে ভোটাররা অনুপস্থিত। বেলা ১১টা পর্যন্ত কোনো কোনো কেন্দ্রে ৪-৭ শতাংশ ভোট পড়েছে। অনেক কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যার চেয়ে ভোটগ্রহণ সংশ্লিষ্টদের সংখ্যাই বেশি। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে পারে বলে আশা করছেন কর্তকর্তারা।