যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনারা চলে যাওয়ার পর কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব নিচ্ছে তুরস্ক।

দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা রক্ষা করার ব্যাপারে তার দেশের সঙ্গে মার্কিন সরকারের সমঝোতা হয়েছে।খবর আল জাজিরা ও আরব নিউজের।

এরদোগান বলেছেন, তুর্কি সেনারা কীভাবে এই বিমানবন্দরের নিরাপত্তা রক্ষা করবে সেব্যাপারে বিস্তারিত চুক্তি হয়েছে।

৩১ আগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং তার আগেই কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দায়িত্ব নিতে সম্মত হয়েছে তুরস্ক। এর মাধ্যমে ওয়াশিংটন ও আঙ্কারার মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার আমেরিকা ও তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের মধ্যে কথা হয়েছে এবং সেখানে আমরা জানিয়ে দিয়েছি, আমরা কতটুকু দায়িত্ব গ্রহণ করব এবং কতটুকু করতে পারব না।

এর আগে গতমাসে ব্রাসেলসে ন্যাটো জোটের শীর্ষ সম্মেলনে তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান তার মার্কিন সমকক্ষ জো বাইডেনের সঙ্গে কথা বলেন।  

ওই সাক্ষাতে কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব গ্রহণ করতে নীতিগতভাবে সম্মত হয় তুরস্ক এবং এ জন্য এরদোগানকে ধন্যবাদ জানান বাইডেন।

আফগানিস্তানে কর্মরত পশ্চিমা কূটনীতিক ও কর্মীদেরকে নিরাপদে দেশটি থেকে বের করে নেওয়ার প্রধান রুট হচ্ছে কাবুল বিমানবন্দর। ন্যাটো ও মার্কিন সেনাদের প্রত্যাহার করে নেয়া হলে তালেবানের হাতে বিমানবন্দরটির পতন হতে পারে ভেবে ওয়াশিংটন শঙ্কিত এবং এ কারণে এটির নিরাপত্তা রক্ষার ওপর বাইডেন প্রশাসন ব্যাপক জোর দিচ্ছে।

২০০১ সালে মার্কিন জোটের হামলায় তালেবান সরকারের পতন হওয়ার পর ন্যাটো জোটের অধীনে আফগানিস্তানে কয়েকশ’ সেনা মোতায়েন করে তুরস্ক। তখন থেকে গত ২০ বছর আফগানিস্তানে শত শত তুর্কি সেনা মোতায়েন ছিল।