বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও কারিগরি কমিটির মতামত সাপেক্ষে ১২ থেকে ১৭ বছরের শিশু-কিশোরদের করোনা টিকা দেবে সরকার।   

আজ রোববার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক গণমাধ্যমকে এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, 'এই বয়সের শিশু-কিশোররা জনসংখ্যার একটি বিশাল অংশ। তাদেরকে টিকা দিতে গেলে আমাদের অনেক টিকার প্রয়োজন হবে।'

চলতি মাসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রায় আড়াই কোটি ডোজ টিকা পাবে বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।এবার করোনা টিকার বয়সসীমা ১২ বছর করার পরিকল্পনা করছে সরকার। এর ফলে ১২ বছর ও তার বেশি বয়সী শিশুরাও করোনাভাইরাসের টিকার আওতায় আসবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী স্কুলের শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার জন্যই মুলত সরকার এই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। 

প্রায় দেড় বছরের অনলাইন শিক্ষার পর স্কুল ও কলেজগুলো ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শ্রেণীকক্ষে ফিরিয়ে আনতে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের। তবে কবে থেকে কর্তৃপক্ষ শিশুদের টিকা দেওয়া শুরু করবে, তা এখনও জানা যায়নি।

বিভিন্ন দেশে শিশুদের ওপর বিভিন্ন ধরনের টিকার ট্রায়াল চালানো হচ্ছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভ্যাকসিন বিষয়ক কারিগরি কমিটির সদস্যরা ১২ বছর বয়সী শিশুদের শুধুমাত্র ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা দেওয়ার সুপারিশ করেছেন।

মাত্র ২২টি দেশে ১৮ বছরের কম বয়সীদের টিকা দেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে অথবা টিকাদান শুরু হয়েছে।