দুদিনের সফরে রংপুরে এসে বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর পর্যটন মোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন ঐক্যফ্রন্ট যে দাবি দিয়েছে তা সংবিধান অনুযায়ী মানা সম্ভব নয়। তারা শেখ হাসিনারও পদত্যাগ চেয়েছেন। শেখ হাসিনা তো পদত্যাগ করবেন না। তাই তাদের আলোচনা ফলপ্রসূ হবে বলে আমার মনে হয় না।

এরশাদ বলেন, ‘বিএনপি এখন নেতৃত্বশূন্য একটি দল। খালেজা জিয়া জেলে, তারেক রহমান বাইরে। ফখরুলকে দেখি ড. কামালের সঙ্গে। কামাল তো বিএনপির নেতৃত্ব দিতে পারে না।

বিএনপির যা অবস্থা, তারা নির্বাচনে নাও আসতে পারে। সব দল বলতে জাতীয় পার্টি এখন একমাত্র বড় দল। বাকিরা তো সব ছোট ছোট। ওদের দিয়ে নির্বাচন হবে না, সরকার গঠন হবে না।

আগামী ৫ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাতীয় পার্টির সংলাপের বিষয়ে দলটির চেয়ারম্যান বলেন, ‘যদি আলোচনায় বসি তাহলে প্রথম দাবি হবে, রংপুরের কোনো আসনে হাত দেবেন না। যেখানে লাঙ্গল থাকবে সেখানে নৌকা থাকতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, ‘বিগত নির্বাচনে রংপুরের ছয়টি আসনের মধ্যে চারটি আওয়ামী লীগ নিয়েছে। বাকি দুটি জাতীয় পার্টির। এটা আমার দোষে হয়নি। এবার সেই চারটি আসন ফেরত চাইবো। আশা করি সেটা সম্ভব হবে।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এদিন ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুরে এসে সড়ক পথে রংপুরে পৌঁছান। এ সময় দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও এরশাদের একান্ত সহকারী মেজর (অব.) খালেদ আকতার, জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফখর-উজ-জামান জাহাঙ্গীর, রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাসহ দলের অন্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।