এদেশে গণতান্ত্রিক, প্রাকৃতিক ও রাজনৈতিক পরিবেশ বিনষ্টের মূল কুশিলব এবং কারিগর হচ্ছে বিএনপি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আজ সকালে তাঁর সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংকালে এ মন্তব্য করেন ।

বিএনপির হত্যা,খুন ও সন্ত্রাসের রাজনীতি দেশকে পিছিয়ে দিয়েছিলো উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।

বিএনপি নেতাদের বক্তব্য শুনলে মনে হয় বাংলাদেশের মানুষ নরক যন্ত্রণার মধ্যে আছে, - আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এই বিষয়ে তাঁর বক্তব্যে বলেন বৈশ্বিক শান্তি সূচকে বাংলাদেশ গতবারের চেয়ে সাত ধাপ এগিয়েছে।

বিএনপির হাতে ক্ষমতা গেলে দেশ আবার অন্ধকারে তলিয়ে যাবে, আবারও লাশের পাহাড় হবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন প্রতিশোধ প্রবণ বিএনপি ক্ষমতা পেলে দেশে রক্তের বন্যা বইয়ে দিবে।

সাম্প্রদায়িক ও সহিংসতার পৃষ্ঠপোষক বিএনপি'র হাতে এদেশ ও দেশের মানুষ নিরাপদ নয় বলেও মনে করেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বিএনপির রাজনীতিকে ভাইরাসের চেয়েও ভয়ংকর বলে মন্তব্য করেন।

আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ওবায়দুল কাদের দলের পক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

২৩ জুন সূর্যদয় ক্ষণে কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশের সকল কার্যালয়ে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তেলন করা হবে।

একই দিন সকাল নয় টায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন।

২৩ জুন বিকেল তিন টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আলোচনা সভা।

সভায় গণভবন প্রান্ত থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলোতে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে।

আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিআরআই এর পক্ষ থেকে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার প্রচারণা চালানো হবে এবং বিশেষ ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সাথে সঙ্গতি রেখে সারাদেশে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুরূপ কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে দিবসটি পালনের আহবান জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন মহামারি করোনার কারণে যথাযথ ভাবে আওয়ামী লীগের ৭২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করতে পারছিনা তবে ঘরোয়া ভাবে সীমিত আকারে অনুষ্ঠানঅ কাটছাট করতে হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সর্বপর্যায়ের শাখার সংগঠনগুলোকে বিশেষ করে মহানগর, জেলা,উপজেলা, থানা ও ওয়ার্ড এর সংগঠনগুলোকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে পালন করার আহবান জানান ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের বলেন আওয়ামী লীগের এখন দুইটি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে প্রথমটি করোনা , দ্বিতীয়টি হচ্ছে উগ্র সাম্প্রদায়িকতা।

তিনি বলেন করোনা প্রতিরোধের পাশাপাশি উগ্র সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী মোকাবেলা করতে হবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন যেখানে সাংগঠনিক সমস্যা আছে সেখানে স্ব স্ব বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।

আওয়ামী লীগের যেসব কমিটি ইতিমধ্যেই গঠিত হয়েছে, সেসব কমিটি নিয়ে কারো কোনো অভিযোগ থাকলে ধানমন্ডির দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে নির্বাচনী ট্টাইব্যুনালে অভিযোগ জমা দিতে পারবেন।