পাকিস্তানের রাজনীতি এক নাটকীয় মোড় নিয়েছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো গত কয়েক মাস ধরে সরকার পতন চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সেই আন্দোলনে তারা সফল হয়নি এখনও। তবে আজ শনিবার পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে এক আস্থা ভোট হবে। সেখানে হেরে গেলে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারাবেন ইমরান খান।

গত ৩ মার্চ পাকিস্তান পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে এক ভোটাভুটিতে দেশটির অর্থমন্ত্রী আব্দুল হাফিজ শেখ হেরে যান। সিনেটে আব্দুল হাফিজের আসনে জয় পান সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি। এতে অস্বস্তিতে পড়ে ক্ষমতাসীন তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। যদিও শেষ পর্যন্ত সিনেটে ২৬টি আসন পেয়েছে দলটি। কিন্তু আস্থা ভোটের আহ্বান করেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

আজ শনিবার জাতীয় পরিষদে এই আস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এজন্য স্থানীয় সময় বেলা সোয়া ১২টায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বান করেছেন পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ডা. আরিফ আলভি। ইমরান খান হচ্ছেন পাকিস্তানের ইতিহাসে দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী যিনি স্বেচ্ছায় আস্থা ভোটের আহ্বান জানিয়েছেন।

এর আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফও স্বেচ্ছায় আস্থা ভোটের আহ্বান জানিয়েছিলেন। ১৯৯৩ সালে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনর্বহালের অনুমোদন দেয়ার পর তিনি আস্থা ভোটের আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে ইমরান খানের হঠাৎ করে এই আস্থা ভোটের আহ্বান পুরো পাকিস্তানকে অবাক করে দিয়েছে। এদিকে বিরোধীদের জোট পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (পিডিএম) এই অধিবেশন বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে।