সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন এবং করোনা মোকাবিলায় পুলিশের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও পুলিশ প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে আমাদের পুলিশ বাহিনী দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। বিশেষ করে আমাদের নারী পুলিশের ভূয়সী প্রশংসা আমরা শুনতে পাই।’

গণভবন থেকে আজ রোববার সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজশাহীর সারদায় ৩৭তম বিসিএস পুলিশ ব্যাচের শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

পুলিশ বাহিনীর কল্যাণে সরকারের উদ্যোগ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘পুলিশের সার্বিক উন্নয়নে আমরা ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। পুলিশ বাহিনী অনেক সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। নানাবিধ অপরাধ সংঘটিত হয়, সেগুলো দমন করা এবং পুলিশকে আরো শক্তিশালী ও কার্যকর করার জন্য আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিই। নতুন নতুন ইউনিট আমরা গড়ে তুলি।’

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘পুলিশের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌপুলিশ, শিল্প পুলিশসহ বিভিন্ন পুলিশ আমরা গড়ে তুলি। কারণ বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রটা ভিন্ন, সেজন্য ট্রেনিংটাও সেভাবে দেওয়া দরকার। সেদিকটায় লক্ষ্য রেখে পদক্ষেপ নিয়েছি।’

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমাদের দেশে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসের ক্ষেত্রে পুলিশ দক্ষতার সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়। সেজন্য আমরা বিভিন্নভাবে তাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। স্পেশাল সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রটেকশন ব্যাটালিয়নসহ বিভিন্ন বিশেষায়িত পুলিশও আমরা গড়ে তুলি। কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় নেওয়া এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য দুটি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন গড়ে তুলি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় পুলিশ অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট এবং কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগ (সিটিটিসি) গঠন করা হয়েছে। অপরাধীকে শনাক্ত করা এবং মামলা তদন্তে তথ্য উদঘাটনে বাংলাদেশ পুলিশের সাইবার পুলিশ সেন্টার, গেরিলা, অটোমেটেড ফিঙ্গারপ্রিন্ট আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম এবং আধুনিক রাসায়নিক পরীক্ষাগার স্থাপন করা হয়েছে।’

শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘নারী আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন গঠন করা হয়েছে। নারীদের পুলিশে যোগ দেওয়া জাতির পিতা স্বাধীনতার পরপরই শুরু করেছিলেন এবং ব্যাপকভাবে তারা অবদান রেখে যাচ্ছে।’