প্রায় ৯ মাস পর গতকালই দেশে একদিনে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ছাড়িয়েছিল সাড়ে তিন হাজার। নমুনা পরীক্ষায় হয়েছিল নতুন রেকর্ড। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে আরও বেশি। তাতে আগের দিনের চেয়ে সংক্রমণও শনাক্ত হয়েছে বেশি। একইসঙ্গে বেড়েছে করোনা সংক্রমণ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যাও।

গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭ হাজার ৫০২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এসব পরীক্ষায় দেশে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ৫৬৭টি। একই সময়ে করোনা সংক্রমণ নিয়ে মারা গেছেন ২৫ জন। আর করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৯১৫ জন

বুধবার (২৪ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সরকারি ও বেসরকারি আরটি-পিসিআর, জিন-এক্সপার্ট ও র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন মিলিয়ে মোট ২২১টি ল্যাবরেটরিতে ২৭ হাজার ৬৮৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এই সময়ে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৭ হাজার ৫০২টি। এখন পর্যন্ত একদিনে এটিই সর্বোচ্চ নমুনা পরীক্ষা। এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) সর্বোচ্চ ২৫ হাজার ৯৫৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল।

গত ২৪ ঘণ্টায় যেসব নমুনা পরীক্ষা হয়েছে, এর মধ্যে ৩ হাজার ৬৬৭ জনের মধ্যে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে ৫ লাখ ৮০ হাজার ৮০৮ জনের মধ্যে করোনার উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৭৩ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৯৪ শতাংশ।

সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৯১৫ জন। এ নিয়ে দেশে করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হলেন ৫ লাখ ২৭ হাজার ৯০৯ জন। সংক্রমণ শনাক্তের বিপরীতে সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৮৯ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় যে ২৫ জন করোনা সংক্রমণ নিয়ে মারা গেছেন, তা নিয়ে দেশে মোট ৮ হাজার ৭৬৩ জন মারা গেলেন। এই ২৫ জনের মধ্যে ১৮ জন পুরুষ, সাত জন নারী। তাদের সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন।

মৃত ২৫ জনের মধ্যে ১৪ জন ষাটোর্ধ্ব, ৯ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছর। মৃত বাকি দুই জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর। এদিন মৃতদের মধ্যে ১৮ জন ঢাকা বিভাগের, তিন জন চট্টগ্রাম বিভাগের। এছাড়া রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট ও রংপুর বিভাগে একজন করে মারা গেছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, বুধবার দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন মোট ৬৪ লাখ ৫২ হাজার ৯৭৮ জন। অন্যদিকে, গতকাল মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) পর্যন্ত দেশে এই ভ্যাকসিন নিয়েছেন ৪৯ লাখ ৯০ হাজার ২৩২ জন।