মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসার চার বছরেও দেশে ফিরতে না পারার হতাশা থেকে রোহিঙ্গারা ভাসানচর থেকে পালিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।

আজ বুধবার (২ জুন) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ইউএনএইচসিআরের দুই সহকারী হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে এ মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। 

আবদুল মোমেন বলেন, ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের বসবাসের জায়গা কক্সবাজারের চেয়ে ভালো। এখানে অর্থায়ন নিয়ে আলোচনা করা হবে। রোহিঙ্গাদের সহায়তায়, পুনর্বাসনে ভাসানচরে যুক্ত হবে জাতিসংঘ। তিনি বলেন,  ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধিরা যাওয়ার পর রোহিঙ্গারা হতাশায় পালিয়েছিল। কী করবে বেচারারা, বাচ্চা-কাচ্চা আছে, পড়ালেখা নাই। তাদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। 

এর আগে সকাল ১১টায় বৈঠক শুরু হয়। জাতিসংঘের অ্যাসিস্ট্যান্ট হাইকমিশনার ফর প্রটেকশন গিলিয়ান ট্রিগস ও অ্যাসিস্ট্যান্ট হাই কমিশনার ফর অপারেশনস রাউফ মাজুও ভাসানচরে অর্থায়ন ও জাতিসংঘের কার্যক্রম শুরু করাসহ রোহিঙ্গাসংকট সমাধানের নানা ইস্যু আলোচনা করেন। 

জাতিসংঘের বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সেপ্পো ও পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

জাতিসংঘের অ্যাসিস্ট্যান্ট হাইকমিশনার ফর প্রটেকশন গিলিয়ান ট্রিগস ও অ্যাসিস্ট্যান্ট হাইকমিশনার ফর অপারেশনস রাউফ মাজুও বলেন, বাংলাদেশসহ সব জায়গায় শরণার্থীদের পাশে থাকবে ইউএনএইচসিআর। অতীতেও ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকব রোহিঙ্গাদের পাশে। করোনা থেকে রক্ষায় রোহিঙ্গাদের জন্য খুব ভালো কাজ করেছে বাংলাদেশ সরকার।